রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়ায়ঃ
লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন
সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাসতন্ত্রের সংক্রামক থেকে রক্ষা করে। আছে
লৌহ এবং অ্যাসকরবিক এসিড যা অ্যাজমা জাতীয় সমস্যা কমায় এবং একইসাথে ঠাণ্ডাজ্বর
জাতীয় রোগের বিরুদ্ধে ভীষণ কার্যকর।
শরীরের অম্ল – ক্ষারের
মাত্রা ঠিক রাখেঃ
যদিও লেবুতে অ্যাসকরবিক এবং
সাইট্রিক এসিড বিদ্যমান তবুও লেবু হচ্ছে শরীরের অম্ল-ক্ষারের মাত্রা ঠিক রাখতে পারে
এমন খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। এইসব এসিড পরিপাক হওয়ার পরেই রক্তের অম্ল-ক্ষারের মাত্রা
ঠিক রাখে।
হজমে
সহায়কঃ
লেবুতে থাকা সাইট্রাস
ফ্ল্যাভোনলস হজমে সহায়কের টনিক হিসাবে কাজ করে। মনে করা হয়, যকৃত শুদ্ধ এবং
উদ্দীপিত করতে – লেবুর রস হজমে সহায়ক হাইড্রোক্লোরিক এসিডকে সাহায্য করে এবং
পাকস্থলীতে উপস্থিত খাদ্যসমূহকে হজম করে।
ত্বক পরিষ্কার
রাখেঃ
লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে। ফ্রি র্যাডিকেল বয়স বৃদ্ধির অন্যতম
কারণ। ত্বকের খসখসে ভাব এবং দাগ দূর করে লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ব্রণ বা অ্যাকনি সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর আর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও ভিটামিন
সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেণ্ট কার্যকরী।
রোগ সেরে উঠার প্রক্রিয়া
ত্বরান্বিত করেঃ
লেবুতে থাকা অ্যাসকরবিক এসিড
ভিটামিন সি হিসাবে পরিচিত যা ক্ষতস্থান সেরে তুলতে সাহায্য করে। একই সাথে শরীরের
স্নায়ুসমূহ ভালো রাখতেও ভূমিকা পালন করে এইসব। ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই
পুষ্টিকর উপাদান যা শরীরের প্রদাহ দূর করে এবং একইসাথে স্ট্রেস এবং যে কোনও ধরণের
ব্যাথার উপশম করে।
হাইড্রেশন অর্থ্যাৎ শরীরে
তরলের পরিমাণ ঠিক রাখেঃ
সকালে বেলা এক গ্লাস উষ্ণ লেবু
পানি শরীরের তরলের পরিমাণ ঠিক রাখে। একইসাথে সারাদিনের পরিপাক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত
করে।
শরীরের শক্তি আনায়ন
করেঃ
লেবু রস ক্লান্তি দূর করে
একইসাথে বিষণ্ণতা এবং অবসাদ দূরে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এমনকি লেবুর গন্ধ
আমাদের স্নায়ুকে শান্ত করতে পারে।
আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।
ধন্যবাদ।